দেশে বৈধভাবে আমদানি করা এবং উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) আইএমইআই ডাটাবেজ (এনএআইডি) উদ্বোধন করা হয়েছে।
বিটিআরসি’র তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ)-এর সহায়তায় এনএআইডি চালু করা হয়েছে।
২২ জানুয়ারি, মঙ্গলবার বিটিআরসি কার্যালয়ে এসএমএসে বৈধ-অবৈধ হ্যান্ডসেট যাচাই এবং এ খাতে অন্যান্য সুবিধা তৈরিতে মোবাইল হ্যান্ডসেটের তথ্য নিয়ে ডাটাবেজের উদ্বোধন করেন ডাক টেলিযোগাযোগ তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, এই প্রযুক্তির ফলে আর ভবিষ্যতে রাজস্ব ফাঁকি দেয়া যাবে না। তাই আজকের এ মুহূর্তটি একটি মাইলফলক। এটা শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, দেশের মানুষকে কানেক্টেড হতেও সাহায্য করবে। দেশের মানুষকে কানেক্টেড করা না গেলে দেশকে ডিজিটাল করা যাবে না।
তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে প্রবেশ করতে চাই। সিমিউই-৬ কনসোর্টিয়ামে গঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ এই কনসোর্টিয়ামের অংশ হিসেবে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে অংশ নিতে যাচ্ছে। এ অর্জন বাংলাদেশের কানেকটিভিটির ইস্যুকে ত্বরান্বিত করে দেবে।’ বাংলাদেশ সরকার বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিয়েছে এবং এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান মোস্তাফা জব্বার।
ফাইভজি চালু নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থানের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো অবস্থাতেই পৃথিবী থেকে এক চুল দূরে থাকব না ফাইভজি লঞ্চ করার ক্ষেত্রে। আমি আশা করব, যারা যেখানে যে অবস্থাতেই আছেন তারা ফাইভজির জন্য প্রস্তুত থাকবেন। ফাইভজিতে এক পা পিছিয়ে থাকার কোনো ইচ্ছা নেই।’
ম্যাসেজে KYD টাইপ করে স্পেস দিয়ে ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর দিয়ে সেটি ১৬০০২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে আইএমইআই নম্বরটি বিটিআরসির ডেটাবেইজে সংরক্ষিত রয়েছে কিনা তা জানা যাবে।
নতুন হ্যান্ডসেটের ক্ষেত্রে মোড়কেই দেখা যাবে আইএমইআই নম্বর। সে ক্ষেত্রে *#/,. ইত্যাদি বিশেষ চিহ্ন বাদে শুধু ১৫টি নম্বর নিতে হবে। আর ব্যবহার করা হ্যান্ডসেটে *#০৬# ডায়াল করেই জেনে নেয়া যায় মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর আছে কি নেই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ) সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুবসহ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।
0 Comments