Ads

বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তর ডেটা সেন্টার বাংলাদেশে

বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তর ডেটা সেন্টার বাংলাদেশে
কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির সঙ্গে স্থাপন করা ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম ডেটা সেন্টার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
২৩ জানুয়ারি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে নিয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির সামগ্রিক কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় এ মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, টিআর ৪ সনদপ্রাপ্ত বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম ডেটা সেন্টার নির্মাণের মধ্যে দিয়ে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আরও একধাপ এগিয়ে গেলাম এবং বিশ্বের কাছে আমাদের সক্ষমতা তুলে ধরতে পারলাম।
পলক জানান, ৭ একর জায়গায় নির্মিত ডেটা সেন্টারের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলতি বছর জুন মাসের মধ্যে শেষ হবে। তখন এ ডেটা সেন্টার থেকেই ডিজিটাল সেবার প্লাটফর্মগুলো পরিচালনা করা যাবে এবং এ ডেটা সেন্টার থেকে গভর্নমেন্ট ক্লাউড পরিচালনা করা হবে।
সরকারের সব মন্ত্রণালয় এ ডেটা সেন্টারে যুক্ত হবে জি-ক্লাউড সার্ভিসের মাধ্যমে। বর্তমানে প্রায় ৬০ জন নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার এবং প্রোগ্রামার কাজ করছেন ন্যাশনাল ডেটা সেন্টারে। ২০২১ সাল নাগাদ ১০০ জনের কর্মসংস্থান হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
বর্তমানে সরকারের প্রায় ২০০ সেবা ডিজিটাল প্লাটফর্মে দেয়া হচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে ১ হাজার ৬০০ সেবা ডিজিটাল মাধ্যমে দেয়া যাবে। এরপর ৩ হাজার সেবা অনলাইনে চলে আসবে। তিনি আরও বলেন, হাইটেক সিটি সফটওয়্যার, ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি পণ্য রফতানির মূল কেন্দ্র হয়ে উঠবে। প্রথম পর্যায়ে দেশে এ পর্যন্ত ২৮টি হাইটেক পার্ক স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
সরকার পর্যায়ক্রমে দেশের সব বিভাগ ও জেলায় হাইটেক পার্ক স্থাপন করবে। আইটি শিল্পকে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সম্পৃক্ত করতে সুলভ মূল্যে প্রতিটি হাইটেক-আইটি পার্কে স্পেস দেয়া হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, বিনিয়োগকারীদের সব রকম সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করা হচ্ছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৪টি প্রণোদনা সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এসব কার্যক্রম আরও সহজীকরণের জন্য বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি চালু করা ট্রেন সার্ভিস বিনিয়োগকারীদের যাতায়াতের সময় ও খরচ কমিয়ে আনবে। ফলে তারা এখন নিশ্চিতে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
কালিয়াকৈরে ৩৫৫ একর জমির ওপর স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি’ বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের প্রথম প্রকল্প। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এ পার্কের প্রয়োজনীয় সব অফসাইট ইনফ্রাস্ট্রাকচার নির্মাণের কাজ শেষ করেছে।
১৯৯৯ সালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সরাসরি প্রথম পর্যায়ে ৯টি কোম্পানিকে ২০ দশমিক ৫ একর এবং ১০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৯টি কোম্পানিকে ২৮ একর প্লট বরাদ্দ দেয়

Post a Comment

0 Comments