আমর (রা) এর ডাকনাম আবু আদ–দাহ্হাক। মতান্তরে আবু মুহাম্মদ। পিতা হায্ম ইবন যায়িদ মদীনার খায়ার গোত্রের বুন নাজ্জরশাখার ছেলে এবং মাতা বনু সায়িদা শাখার মেয়ে।১ হযরত আম্মার ইবন হায্ম (রা) যিনি আকাবার বাইয়াতে শরীক ছিলেন, আমারবৈমাত্রীয় ভাই।২ ইসলামের সূচনা পর্বে ও হিজরাতের সময় পর্যন্ত আমার চিলৈন প্রাপ্ত বয়স্ক। এ কারণে তিনি যে কখন ইসলাম গ্রহণ করেন তাসঠিকভবে নির্ণয় করা যায় না। সম্ভবতঃ নিজের পরিবারের লোকদের সাথে ইসলাম গ্রহণ করেন।৩ যুদ্ধে যাওয়ার বয়স না হওয়ার কারণে বদর ও উহুদ যুদ্ধে যোগদান করতে পারননি। ইবন হিশাম বলেনঃ রাসূলে (সা) বয়স কম হওয়ায়উমামা ইবন যায়িদ আবদুল্লাহ ইবন উমার ইবন আল খাত্তাব ইবন সাবিত, আল বারা ইবন আমির, আমর ইবন হায্ম ও উসাইদ ইবনজুাহইরেকে উহুদ যুদ্ধে যোগদানের অনুমতি দেননি।তাঁরা যেতে চেয়েছিলেন; কিন্তু রাসূল (সা) তাঁদেরকে ফিরিয়ে দেন। খন্দক যুদ্ধেরসময় যোগদানের অনুমতি দেন।৪ ইবন ইসহাক বলেনঃ আমর বলেনঃ পনেরো বছর বয়েসে খন্দক যুদ্ধে যোগদান করেন।৫ খন্দকপরবর্তী সকল যুদ্ধে তিনি অয়শ নেন।তাঁর জীবনের প্রথম যুদ্ধ খন্দক।৬ ইবন ইসহাক বলেনঃ রাসূল (সা) হিজরী দশ সনের রাবীউল আওয়াল অথবা জামাদিউল আওয়াল মাসে খালিদ ইবনুল ওয়ালিদকেনাজরানের বনু আল হারিস ইবন কা’ব এর নিকট পাঠান। যাওয়ার সময় তাঁকে নির্দেশ দেন, তাদের সাথে যুদ্ধের ঘোষণা দেওয়ার আগেতিনবার তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেবে। তারা সে দাওয়াত গ্রহণ করলে তাদেরকে তুমি তো মেনে নেবে। প্রত্যাখ্যান করলে যুদ্ধেলিপ্ত হবে। খালিদ সেখানে পৌঁছে তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিলে তারা গ্রহণ করে। খালিদের আপ্রাণ চেষ্টায় নাজরানেরঅধিবাসীরা ইসলাম কবুল করে। খালিদ সেকানে অবস্থান করে তাদেরকে ইসলামে বিভিন্ন বিষয়, আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের (সা) সুন্নাত শিক্ষা দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে খালিদ (রা) নাজরানের সঠিক অবস্থা বর্ণনা করে রাসূলকে (সা) পত্র লেখেন। উত্তরে রাসূলও (সা) একটি পত্র খালিদকে(রা) পাঠন। তাতে তিনি বনু আলÑহারিসের একটি প্রতিনিধিদল সংগে করে মদীনায় আসার জন্য খালিদকে নির্দেশ দেন। খালিদএকটি প্রতিনিধি দল সাথে নিয়ে মদীনয় আসেন। প্রতিনিধিদলের সাথে রাসূলুল্লাহর (সা) বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ইবন হিশামবলেনঃ এ দলটি শাওয়াল মাসের শেষ অথবা জুল কা’দাহ মাসের প্রথম স্বদেশে ফিরে যায়। তাদের ফিরে যাওয়র পর রাসূল (সা) মাত্রচার মাস জীবিত ছিলেন। ইবন হিশাম আরো বলেন, প্রতিনিধিদলটি ফিরে যাওয়ার পর রাসূল (সা) তাদেরকে দ্বীনের প্রকৃত জ্ঞানদানইসলামের মৌলিক বিষয় সমূহ ব্যাখ্যা, রাসূলুল্লাহর (সা) সুন্নাতের শিক্ষা দান এবং যাকাত ও সাদাকা আদায়ের জন্য আমর ইবনহায্মাকে পূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে তাদের কাছে পাঠান। যাত্রার পূর্বে তাঁর দায়িত্বের পরিধি এবং কর্ম পদ্ধতির বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে রাসূর (সা) তাঁকে একখানি লিখিত অঙ্গীকার পত্র দান করেন।৭ এখানে পত্রটি ভাবর্থ দেওয়া হলোঃ বিসমিল্লাহ রাহমনির রহীম। এ আল্লাহ ও রাসূলের ঘোষণা, হে ঈমানদার ব্যক্তিগণ তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ কর যখন তাকে ইয়ামেনেপাঠানো হচ্ছে। তিনি তাকে সকল ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করার নির্দেশ দিচ্ছেন। কারণ আল্লাহ তা’য়ালা তাঁকে নির্দেশ দিচ্ছেন, আল্লাহর নির্দেশ মতে সত্যসহকারে মানুষের অর্থ সম্পদ গ্রহণ করার। তুমি মানুষের কল্যাণের সুসংবাদ দেবে এবং ভালো কাজের আদেশ করবে। কুরআনর শিক্ষা দেবে, তাদের সামনে কুরআনের গভীরতাৎপর্য ব্যাখ্যা করবে এবং তাদেরকে খারাপ কাজ থেকে নিষেধ করবে। কেউ পবিত্র অবস্থায় ছাড়া কুরআন স্পর্শ করতে পরবে না।মানুষের অধিকার ও দায়িত্ব কার্তব্য তাদেরকে অবহিত করবে। মুনষ হক বা সত্যের ওপর থাকলে তাদের প্রতি কমল হবে, তারাঅত্যাচারি হলে কঠের হবে। করাণ আল্লাহ অত্যাচার অপসন্দ করেন এবং অত্যাচার করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ বলেনঃসাবধান! অত্যাচারীদের ওপর আল্লাহর অভিশাপ। মানুষকে জান্নাত ও জান্নাতের কাজসমূহের সুসংবাদ দেবে।তেমনিভাবে জাহান্নামও জাহান্নামের কাজগুলি সম্পর্কে সতর্ক করে দেবে। মানুষের সাথে হদ্যতার সম্পর্কে গড়ে তুলবে। যতে তারা দ্বীন বুঝতে পারে। হজ্জ্বের নিদর্শনসমূহ, সুন্নাত ও ফরজসমূহ এবং সেসম্পর্কে আল্লাহ যা বর্নণা করেছেন তা তাদেরকে অবহিত করবে। হজ্জের আকবর সম্পর্কে জানাবে। হজ্জ দুই প্রকারঃ হজ্জেআকবর ও হজ্জে আসগর। উমার হচ্ছে হজ্জে আসগর। মানুষকে একখানা ছোট কাপড়ে নামায পড়তে নিষেধ করবে। দুই কাধেরওপর আর একখানি কাপড় পেচানো থাকরে একটি ছিদ্র দিয়ে মাথাটি আকাশের উচু হয়ে আছে। মাথার দিকে চুলের বেনী বাঁধতেনিষেধ করবে। উত্তেজিত হয়ে গোত্রে ও সম্প্রদায়েকে জানাতে মানুষকে নিষেধ করবে। তাদের আহবান হবে কেবল আল্লাহর দিকে। কেউ আল্লাহরদিকে না ডেকে গোত্র ও সম্প্রদায়ের দিকে আহবা জানালো তরবারী দিয়ে মাথাটি কেটে ফেলবে। যাতে, তাদের আহবান হয় একআল্লাহর দিকে। মানুষেকে পরিপূর্ণরুপে অজু করতে আদেশ করবে। আল্লাহ যেমন মুখমন্ডল, কনুই পর্যন্ত হাত, গিরা দুই পা ধুইতেএবং মাথা মাসেহ করতে বলেছেন, সেইভাবে। সঠিক সময়ে নাময আদায় করতে ও যথাযথভাবে রুকুÑ সিজদা করতে আদেশ করবে।সকালের নামায অন্ধাকরে জুহরের নামায সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে গেলে, আসরের নামায সূর্য পৃথিবীর দিকে পিছনে দিলে এবংমাগরিবের নামায রাতের আগমন ঘটলে আদায় করতে মানুষকে আদেশ করবে। মাগরিবের নামায আকাশে নক্ষত্র দেখা যায় এমনসময় পর্যনত দেরী করবে না। রাতের প্রথম ভাগে ঈশার নামায আদায় করতে বলবে। জুম’আর নামাযের আজান হলে সক কাজ বন্ধকরে জুম’আর নামাযে যেতে বলবে। যাওয়ার আগে গোসল করতে বলবে। যে কোন ইয়াহুদী অথবা নাসারা নিষ্টাসহকারে মুসলাম এবং ইসলামের বিধিÑবিধান মেনে চলবে সে সত্যিকার মুমিন বলে বিবেচিতহবে। মুমিনদের সামান অধিকার যেমন সে ভোগ করবে, তেমনি সামান দায়িত্ব ও কর্তব্যও তার ওপর বর্তাবে। আর যে ইয়াহুদী ওনাসারা তার নিজ ধর্মে থেকে যাবে তাকে কোন রকম বাধা দেওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে নারীÑপরুস, স্বাধীন ও দাস নির্বিশেষে প্রত্যেকপ্রাপ্ত বয়স্কের ওপর পূর্ণ এক দীনার অথবা তাঁর রাসূলের। যে তা দিতে অস্বীকার করবে সে আল্লাহ, আল্লাহর রাসূল ও মুমিন সকলেরশত্র“। মুহাম্মাদের ওপর আল্লাহর করুণা বর্ষিত হোক। ওয়াস সালামু আলাইহি ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু। নাজরানের সরকার পরিচালনার পাশাপাশি ধর্মিয় ও অর্থনৈতিক দায়িত্ব ও তাঁর হাতে ন্যস্ত ছিল। তিনি শিক্ষাদান ও তাবলীগের দায়িত্বেওপালন করতেন। ইবনুল আসীর বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সা) তাকে নাজরানবাসীদেরকে ফিকাহ ও কুরআন শিক্ষা দান ও তাদের নিকটথেকে যাকাত ও সাদাকা আদায়ের দায়িত্ব প্রদান করেন।৮ ইবন হাজার বলেনঃ রাসূল (সা) আমরকে যখন নাজরানে পাঠান তখান তাঁর বয়স মাত্র সতেরো বছর। ইবন সা’দাও এ কথা বলেছেন।৯ কিন্তু তাঁদের এ কথা সঠিক নয় বলে মনে হয়। কারণ সীরাত ও ইতিহাসের সকল গ্রন্থে একাত বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি হিজরী দশ সনেনাজারানে যার।আর একথাও বর্ণিত হয়েছে যে খন্দক যুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল পনেরো বছর। ইবন হাজর তাঁর তাহজীবুত তাহজীব’ (৮/৯) গ্রন্থেও বলেছেন তিনি পনেরো বছর বয়েসেই খন্দক যুদ্ধে যোগদান করেন। আর একথাও তো সত্য যে খন্দক যুদ্ধ হয় হিজরীপঞ্চম সনে। অতএব ডহজরী দশ সনে কোন অবস্থাতে তাঁর বয়স বিশ বছরের কম হতে পারে না। হযরত ‘আমর (রা) মদীনা থেকে নাজরান যাওয়ার সময় স্ত্রীকেও সয়গে নিয়ে যান। স্ত্রীর নাম ছিল উমর্ ানাজরানর পৌছার পর সেইবছরই তাঁদের এক পুত্র সন্তান জন্মলাভ করে।পিতা–মাতা সন্তানের নাম রাখেন মুহাম্মাদ এবং ডাক নাম আবু সুলায়মান। এ খবরমদীনায় রাসূলের (সা) নিকট পৌঁছালে তিনি সন্তানের নাম মুহাম্মাদ ও ডাকনাম আবু আবুদল মালিক রাখার জন্য লিখে পাঠান।১০ইমাম আল হাযেমী এই মুহাম্মাদের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেনঃ যাদেরকে ইয়ামেনের নাজরানের প্রতি সম্পৃক্ত করা হয়েছে, আবুআবুদল মালিক মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন হায্ম তাদের একজন। তাঁকে নাজরানী বলা হয়। কারণ তিনি রাসূলুল্লাহর (সা) জীবনকালেহিজরী দশ সনে সেখানে জন্ম গ্রহণ করেন। মদীনায় আনসাররা আল–হাররা এর দিনে তাঁকেই ওয়ালী মানোনীত করেন এবং হিজরী৬৩ সনে তিনি আল–হাররা এর ঘটনায় শাহাদাত বরণ করেন।১১ হযরত আমরের (রা) দুই স্ত্রী। প্রথমার নাম উমরা। তিনি আবদুল্লাহ ইবন আল–হারিস আল–গাসসানীর কন্যা। এই আবদুল্লাহ ছিলেনমীনায় বহিরাগত এবং মদীনায় সায়িদা গোত্রের হালীফ বা চুক্তিবদ্ধ।১২ দ্বিতীয়ার নাম সাওদা বিনতু হারিস।১৩ আমরের (রা) জীবনেরশেষ দিন পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। আমরের (রা) সন—ানদের সঠিক সংখ্যা জানা যায় না। তবে ছেলে মুহাম্মাদ, যিনি রাসূলুল্লাহর (সা) জীবদ্দশায় জন্ম গ্রহণ করেন, খ্যাতিমান হয়েছিলেন। তিনি উমার (রা) ও অন্যদের সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তাঁর পিতাকে দেওয়া রাসূলুল্লাহর (সা) চিঠিটি তিনিলোকদের দেখিয়ে বলতেন, এ হচ্ছে রাসূলুল্লাহর (সা) একটি চিঠি। তিনি আমর ইবন হায্মকে ইয়ামনে পাঠানোর সময় তাঁকেদিয়েছিলেন।১৪ প্রখ্যাত মুজতাহিদ ও ফকীহ কাজী আবু বকর ছিলেন এই মুহাম্মাদের পুত্র।১৫ গভীর জ্ঞান, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, তীক্ষè বিচার ক্ষমতা এবং শরীয়াতের বিধি বিধানে অপরিসীম দখল ছিল তাঁর। এর প্রমাণ পাওয়া যায়রাসূল (সা) কর্তৃক তাঁকে নাজরানের ওয়ালী নিয়োগের মাদ্যমে। মাত্র বিশ বছর বয়সে শাসন পরিচালনার মত গুরুদায়িত্ব পালন এবংকুরআন হাদীস শিক্ষাদান তাঁর আসাধারন যোগ্যতা ও প্রতিভার স্বক্ষর বহন করেন। রাসূলুল্লাহর (সা) বেশ কিছু হাধীস তাঁর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। বিশেষত নাজরান যাওয়ার প্রক্কালে রাসূলে করীম (সা) যে লিখিত পুস্তিকাটিতাঁকে দান করেন তা আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন হিব্বান, দ ারেমী প্রমুখ মাহাদ্দিসীন বর্ণনা করেছেন। তাঁর থেকে যাঁরা হাদীস বর্ণনাকরেছেন তাঁদের কয়েক জনের নাম এখানে দেওয়া হলোঃ স্ত্রী সাওদা, পৌত্র আবু বকর, পুত্র মুহাম্মাদ, নাদর ইবন আবদুল্লাহ সালামী এবং যিয়াদ ইবন সুয়াইম আল–হাদরামী।১৬ আমরের (রা) চরিত্রের উজ্জ্বল বৈশিষ্ট লো সততা ও সত্যবাদিতা। কারও রক্তচক্ষু কখনো তাঁকে সত বলা থেকে বিরত রাখতে পরেননি।প্রখ্যাত সাহাবী আম্মার ইবন ইয়াসির (রা) সম্পর্কে রাসূলে করীম (সা) ভবিষ্যৎদ্বাণী করেন যে,একটি বিদ্রোহী দল তাঁকে হত্য করবে।সিফফীনে যুদ্ধে আম্মার (রা) পক্ষে যুদ্ধ করা মুয়াবিয়ার (রা) বাহিনীর হাতে শহীদ হন। আম্মার (রা) আলীর (রা) পক্ষে যুদ্ধ কেরমুয়াবিয়ার (রা) পৃষ্টপোষক আমর ইবনুল আসের (রা) নিকট এবং বলেনঃ আম্মার তো নিহত হয়েছে। তাঁর সম্পর্কে রাসূলুল্লাহর (সা) বানী আছেঃ তাঁকে একটি বিদ্রোহী দল হত্যা করবে। এরপর তিনি যান মুয়াবিয়ার (রা) নিকট। বলেনঃ আম্মার তো নিহত হয়েছে। আমিরাসূলুল্লাহ (সা) বলতে শুনেছিঃ তাকে একটি বিদ্রোহী দল হত্যা করবে। মুয়াবিয়া (রা) বললেনঃ দুমি তোমার যুক্তিতে ভুল করছো।আমার কি তাকে হত্যা করছি? তাকে হত্যা করেছে আলী ও তার সংগীরা। তাঁরাই তাঁকে আমাদের বর্শা ও তরবারির সামনে এনে দাঁড়করিয়ে দিয়েছি।১৭ মু’য়াবিয়া (রা) তখন খলীফা। একবার আমার (রা) গেলেন খলীফার দরবারে এবং তাঁর শাসনের প্রতি ইঈিত করে তাঁকে রাসূলুল্লাহর (সা) হাদীস শোনালেন।তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহর (সা) মুখে শুনেছি, কিয়ামতের দিন রাজাকে তার প্রজাদের সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে।১৮ মুসনাদে আবু ইয়ালা গ্রন্থে বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হয়েছে যে, মুয়াবিয়া (রা) যখন স্বীয় পুত্র ইয়াযিদের জন্য বাইয়াত শপথ গ্রহণ করেনতখন একবার তাঁর সাথে আমরের (রা) শক্ত বাকযুদ্ধ হয়।১৯ আমরের (রা) মৃত্যু সন নিয়ে মতবিরোধ আছে। হিজরী ৫১, ৫৩,ও ৫৪ সনে তাঁর মৃত্যুর কথা বর্ণিত হয়েছে। আবু নু’য়াইমা বলেন, আমরইবন হাযম উমারের (রা) খিলাফতকালে মৃত্যু বরণ করেন। ইবরাহীম ইবন মুনজিরও তাঁর তাবাকাত গ্রন্থে একই কথা বলেছেন। তবেহিজরী পঞ্চাশ সনের পর মারা গেছেন বলে যে সকল মত বর্ণিত হয়েছে। ইবন হাজার তার কোন একটি সঠিক বলে মত প্রকাশকরেছেন। কারণ, মুয়াবিয়ার (রা) সাথে তাঁর যে ঝগড়া হয় তা বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হয়েছে। সুতারং উমারের (রা) খিলাফতাকলে তাঁরমৃত্যুর প্রশ্নই উফে না। তিনি মদীনায় মারা যান।২০ ‘আমর ইবন হায্ম বলেনঃ রাসূল (সা) একদিন আমাকে একটি কবরের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলেনঃ নেমে এসো। কবরে শায়িতব্যক্তিকে কষ্ট দিও না।


0 Comments