Ads

রাত ১০ টার পর....


নিহাদ:আকাশ হয়তো এখন কলেজে। আবির:আমাদের পরবর্তী টার্গেট আকাশ। তারপর বাকিরা। নিহাদ:ঠিক আছে আমি রাতে এসে তোকে বাসার সামনে থেকে পিক করে নিয়ে যাবো। আবির:হুম তাহলে এখন রাখছি। রাত ১০ টার পর.... নিউজ টিভিতে..... ব্রেকিং নিউজ..... গত কয়েকদিন আগে যে ব্যক্তির চোখ তুলে এবং দু পায়ে গুলি করে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়, সে ব্যক্তি আজ দুপুরে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যা করার আগে সে একটা চিঠি লিখে যায়। আমরা এখন সেটাই পড়বো.....এভাবে মৃত মানুষের মতো বেঁচে থাকতে চাই না। তার থেকে বরং একেবারে মরে যাওয়াটা ভাল। তবে আপনাদের কে একটা কথা বলে যেতে চাই। আমি এবং আমার কয়েকজন বন্ধুরা মিলে গত ৫বছর আগে একটা মেয়েকে ধর্ষণ করি। আর তার পাগল প্রেমিক কয়েকদিন আগে এসে আমার এই অবস্থা করে। আমাকে জানে মারেনি অবশ্য, তবে মরার মতোই করে দিয়েছে। সে চেয়েছে আমি যেন তিলে তিলে কষ্টে মারা যাই। শুধু ঐ মেয়েটাকেই ধর্ষণ করিনি,ওর মতোই আরো অনেক মেয়েকে ধর্ষণ করেছি। জানি না আল্লাহ এই পাপের কোনো ক্ষমা করবেন কি না। একটা কথা বলে যাই কেউ কোনোদিন কোনো মেয়েকে ধর্ষণ কইরেন না। বলা যায় না কখন আমার মতো আপনার উপরও এমন হতে পারে। আমার সেই বন্ধুদের কয়েকটি কথা বলছি.....গত ৫বছর আগে যাকে আমরা ধর্ষণ করেছিলাম তার প্রেমিক কাউকে ছাড়বে না। আমার এমন অবস্থা করেছে, তোদের ও করবে। যদি বাঁচতে চাস তো পালিয়ে যা দেশ থেকে।(মৃত লোকটার রেখে যাওয়া চিঠি) এতক্ষণ পড়ছিল সেই ব্যক্তির চিঠি। লোকটা তার বন্ধুদের নাম বা ঠিকানা বলে যায়নি যে পুলিশ তাদের কে ধরে আনবে। আশাকরি সেই ধর্ষক গুলো তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে যাবে। এবং তাদের যথাযথ শাস্তিও দেবে আইন। এখন এই পর্যন্তই,পরের সংবাদের জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। অদ্রিতা:বেশ হয়েছে। শুধু মেয়েদের ধর্ষণ করা না? এখন দেখ কেমন লাগে। সেই প্রেমিক কে হয়তো আল্লাহ ফেরেস্তা করে পাঠিয়েছেন তোদের মতো কুলাঙ্গার গুলোকে শাস্তি দেওয়ার জন্য। জান্নাত:ঠিক বলেছ ভাবি। শালা বেহায়া গুলো জীবনেও ভাল হবে না। সেই লোকটা যেন সব গুলা কুলাঙ্গার কে মেরে ফেলে। ওদের জন্মের দোষ আছে,সেজন্যই ধর্ষণ করে। আবির:ধর্ষণের মূল কারন শুধু ছেলেরা একা নয়। মেয়েরাও সমান ভাবেই দোষী। আমরা ইসলাম ধর্মের অধিকারী। মেয়েদের উচিত সবসময় পর্দা করা। বাইরে বের হলে হিজাব বা বোরকা পড়ে যেতে হবে। কিন্তু মেয়েরা কি করে? শর্ট ড্রেস পড়ে বাইরে বের হয়।এমন ড্রেস পড়ে যে তাদের নাভি,পিঠ এবং তাদের বুকের উপরটাও ভাল করে দেখা যায়। এগুলো দেখে যেকোনো ছেলেরই ইচ্ছা হয় সেই মেয়েটিকে পেতে। আমরা ছেলেরাও যে ভালো সেটা বলবো না। কারন মেয়েরা যখন ওসব ড্রেস পড়ে কোনো মেয়ে বাইরে বের হয় তখন আমরা ছেলেরা তাকিয়ে থাকি আর মেয়েদের ইভটিজিং করি। অনেক বাজে বাজে কথা বলি। কখনো ভয় করিনা যে আল্লাহ আমাদের দেখছেন এবং শুনছেন। আমরা ভুলে যায় যে এসব ইসলামের দৃষ্টিতে এগুলো পাপ। আর এসবের জন্য কবরে শাস্তি পেতে হবে। তবে ধর্ষণের মূল আমি মেয়েদের এবং তাদের পরিবারকে দেই। কেননা তার পরিবার যদি তাদের মেয়ে কে ইসলামের দৃষ্টিতে বুঝায় তাহলে হয়তো সে আর এমন ড্রেস পড়ে বাইরে বের হবে না। সব পরিবারের উচিত তার ছেলে-মেয়েদের কে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করা।ইসলামের পথে অগ্রসর করা। আল্লাহর কথা সবসময় মনে করিয়ে দেওয়া।তাহলে হয়তো আর ধর্ষণ হবে না। কোনো ছেলে যদি ৫ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আমি গ্যারান্টি মেয়েরা যতই শর্ট ড্রেস পড়ুক সেদিক তারা চোখ দেবেনা। দিলেও খারাপ নজরে দেবে না। আবিরের কথা শুনে সবাই হা হয়ে গেছে। সবাই নিশ্চুপ ভাবে ওর বলা কথা গুলো শুনছিল সবাই। আবিরের চাচি:একদম ঠিক বলেছিস বাবা। শুধু ছেলে বা মেয়েদের দোষ দিলে ভুল হবে। আগে তাদের পরিবারকে সতর্ক হতে হবে। মেয়েদের উচিত পর্দা করা, এবং ছেলেদের উচিত ৫ওয়াক্ত নামাজ পড়া। সব মিলিয়ে আল্লাহকে ভয় করতে হবে আগে। আবিরের মা:ভাববা আমার ছেলে দেখি অনেক বড় হয়ে গেছে। কত জ্ঞানের কথা বললো। বাবা:দেখতে হবে না ছেলেটা কার? মা:হ ছেলে তোমার একার।আমি ওকে জন্ম দিয়েছি ও আমার ছেলে। বাবা:ঠিক আছে ও আমাদের দুজনেরই ছেলে। জান্নাত:তো মি.লুঙ্গিওয়ালা খুব তো জ্ঞানী হয়ে পড়েছেন। তা আপনাকে একটা সালাম তো করাই যায়। আবিরের পা ছুয়ে সালাম করলো জান্নাত। আবির:সব কিছুতে ফাজলামি না করাই ভালো। যাইহোক অনেক রাত হয়েছে সবাই শুতে যাও। সবাই সবার রুমে চলে যায়।রাত তখন ১১ হবে। আবির নিজের রুম থেকে বেরিয়ে তার বাইকে উঠে পড়লো। গেইটের কাছে আসতে দেখতে পেল জান্নাত সেখানে দাঁড়িয়ে আছে। আবির:তুমি এখানে? এতো রাতে এখানে কি করছো? জান্নাত:আমারও তো একই প্রশ্ন আপনি এতো রাতে কোথায় যাচ্ছেন? আবির:আমার একটু জরুরি কাজ আছে। তাই বের হচ্ছি।তুমি নিজের রুমে যাও। জান্নাত:ঘুম ধরছিল না তাই এখানে এসেছিলাম একটু হাওয়া খেতে। যাইহোক তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরেন।আমি গেলাম। আবির গেইট দিয়ে বের হতেই নিহাদ আর আহির আরেকটা বাইক নিয়ে চলে আসলো। আবির:একটা ভেজাল হয়ে গেছে। সেদিন যে লোকটা কে আধমরা করেছিল সে আজকে আত্মহত্যা করেছে। এবং একটা চিঠি লিখে তার বন্ধুদের সতর্ক হতে বলেছে। আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওদের কে আমাদের হাতের কবজায় আনতে হবে। ওরা দেশের বাইরে চলে যেতে পারে সো সব তাড়াতাড়ি করতে হবে। আহির:তাহলে তো সবার খবর আমাদের জানা জরুরি। এক কাজ করা যায় আকাশ কে ধরে সবার খবর জানা যাবে। নিহাদ:হুম এটা করলে মন্দ হয় না। এখন কথা না বলে জলদি চল। ওরা বাইক নিয়ে সোজা আকাশের বাসার সামনে চলে আসে। আবির:নিহাদ তুই এক কাজ কর। গেইটের দারোয়ান কে কথায় ব্যস্ত রাখ আর আহির তুই দারোয়ানকে অজ্ঞান করে ফেল। তারপর সবাই মিলে বাসার মধ্যে ঢুকে পড়বো। মুখে মাস্ক পড়ে নে সবাই। নিহাদ:ঠিক আছে। আবিরের বলা কথার মতো নিহাদ আর আহির কাজটা শেষ করে ফেললো। তারপর বাসার মধ্যে পা টিপেটিপে ঢুকতে লাগলো। আবির:খুব সাবধানে আকাশের রুমে ঢুকতে হবে। তুই শিওর জানিস তো ওর রুম কোনটা? নিহাদ:হুম উপর তোলার বাম দিকের ৪ নম্বর রুমটা আকাশের । আকাশের রুমে ঢুকেই ওকে অজ্ঞান করে ফেললো। তারপর আকাশের বাসার পিছনে নিয়ে আসে ওকে। মুখে পানি ছিটিয়ে জ্ঞান পিরে??? (নেক্সট পাঠ কালকে পাবেন)

Post a Comment

0 Comments